নিজস্ব প্রতিবেদক,দৈনিক খবর বার্তা:
মানিকগঞ্জে গৃহবধূ বিউটি গোস্বামীর কার্টুনবন্দি মরদেহ উদ্ধারের চারদিন পর হত্যার রহস্য উদঘাটন সহ ঘাতক স্বামী অলোক রঞ্জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অলোক রঞ্জন গোস্বামীকে ফরিদপুর থেকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। গ্রেফতারের পর হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে স্বামী অলোক রঞ্জন। মঙ্গলবার(৮ এপ্রিল) রাতে পুলিশের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী অলোক রঞ্জন জানান, বিউটি গোস্বামী বেশির ভাগ সময় ফেসবুক, অনলাইন বিজনেস ও লাইভ ভিডিও করে সময় কাটাতেন। এ কারনে দুই সন্তানকেও সময় দিতে পারতেন না। কিছু বললেই মা-বাবা তুলে গালাগালি করতেন। দাম্পত্য কলহের কারনে প্রায় তিন বছর ধরে আলাদা ঘরে ঘুমাতেন তারা।
ঘটনার দিন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আবারো ঝগড়া বিবাদ হয়। এক পর্যায়ে বিউটি গোস্বামী রান্না করতে গেলে পেছন থেকে মুখ ও গলা চেপে ধরে স্বামী। এরপর ছেড়ে দিলে ফ্লোরে পড়ে মাথায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় তার। পরে এসির কার্টুনে ভরে রশি দিয়ে বাঁধা হয় তাকে। এরপর গ্রামের আত্মীয়-স্বজনদের ঈদ উপহার পৌছে দেয়ার কথা বলে একজনের সহায়তায় একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করা হয়।
পেছনের ছিটে কার্টুনটি বসিয়ে রাজধানীর উত্তরা থেকে মানিকগঞ্জের মিতরা এলাকায় আসে তারা।
সহযোগির মাধ্যমে কৌশলে চালককে সামনে ঢেকে নিয়ে মিতরা-বরুন্ডি সড়কের এগারোশ্রী এলাকায় কার্টুনবন্দি মরদেহটি ফেলে দিয়ে প্রাইভেটকারে করেই পালিয়ে যায় স্বামী ও তার সহযোগি।
এরআগে গত ৪ এপ্রিল মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল ইউনিয়নের মিতরা-বরুন্ডি আঞ্চলিক সড়কের এগারোশ্রী এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে থেকে কার্টুনবন্দি বিউটি গোস্বামীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দুই সন্তানের জননী বিউটি গোস্বামী লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার নিহারঞ্জন গোস্বামীর মেয়ে। স্বামী অলোক রঞ্জনের সঙ্গে ঢাকার উত্তরায় বসবাস করতেন তিনি। অলোক রঞ্জন বায়িং হাইজে চাকুরি করতেন।