নিজস্ব প্রতিবেদক,দৈনিক খবর বার্তা:
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে শিবালয় সদরউদ্দিন ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে ২য় দিনের মতো শিক্ষক-কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করে। ফলে, কলেজের একাদশ শ্রেণির পূর্ব নির্ধারিত বর্ষ সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ না করায় প্রায় সাড়ে ৫শ’ শিক্ষার্থী ফিরে যায়। এতে, ভোগান্তিতে পরেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, কলেজ অধ্যক্ষের নানা-অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচারীরা তার অপসারণের দাবিতে ২৫ মে রবিবার মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় পরদিন থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা কর্মবিরতিতে যায়। এতে কলেজের কার্যক্রমে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়।
শিক্ষকরা জানান, অধ্যক্ষ বাসুদেব শিকদার ইতিপূর্বেও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে বহিষ্কৃত হন। অবৈধ প্রভাব ও অর্থের জোরে পার পেয়ে যান। তিনি নতুন করে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কলেজের লাখ-লাখ টাকা নিজ একাউন্টে নিয়ে নেন। বিভিন্ন খরচের নামে ও অনুদানের কথা বলে কলেজের বহু টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন। তিনি শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রায় দেড় বছরের বেতন-ভাতা না দিয়ে নানা হয়রানি করে আসছেন। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এ কর্মবিরতি লাগাতার চলবে।
বিদেশে পড়ার সুযোগ বাড়াতে এমপাওয়ার ও আইডিপির নতুন অংশীদারিত্ববিদেশে পড়ার সুযোগ বাড়াতে এমপাওয়ার ও আইডিপির নতুন অংশীদারিত্ব প্রভাষক মো. আজাদ হোসেন জানান, দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ বাসুদেব দীর্ঘ ১৫ বছর নানা ধরনের অনিয়ন-দুর্নীতি করে এসেছে। আমরা বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি। ইতি পূর্বে ডিসি মহোদয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও সুপারিশ করেছেন। পূর্বে তিনি বহিষ্কারও হয়েছেন। কোন এক অদৃশ্য শক্তির বলে তিনি এ পদে বহাল রয়ে যান। তার অপসারণের জন্য প্রথমে মানববন্ধন করেছি এখন কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। যতদিন না তাকে এ পদ থেকে অপসারণ করা হবে আমাদের এ কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষক সুজিত কুমার জানান, গত ২৪ তারিখে সকল শিক্ষক-কর্মচারীরা অধ্যক্ষের পদত্যাগ করার জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। পরদিন আমরা মানববন্ধন ও দুদিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছি। কিন্তু, ২৪ তারিখের পর অধ্যক্ষ আর কলেজে আসেনি। ২৪ তারিখ বিকেলে তিনি জরুরি জিনিসপত্র নিয়ে যান।
একাদশ শেণির মাবনিক বিভাগের শিক্ষার্থী নিশরাত ও মাসুমা জানান, শিক্ষদের কর্মবিরতির কারণে পরীক্ষার দিন তাকে পাওয়া যায়নি। আমাদের শিক্ষকদের যে ১৭ মাসের বেতন আকটে রাখা হয়েছে বিষয়টি অমানবিক। আমরা চাচ্ছি শিক্ষকরা যে দাবি নিয়ে কর্মবিরতি দিয়েছে তাদের দাবি মেনে অধ্যক্ষের পদত্যাগসহ সঠিক বিচার দাবি জানাই এবং কলেজের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসে।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অধ্যক্ষ বাসুদেব কুমার দে শিকদারকে তার ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি এবং তিনি গত দুইদিন কলেজে আসেনি বলে জানা যায়।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, ওই কলেজের শিক্ষকদের আমিসহ আরো কয়েকজনকে দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে পরীক্ষা নিয়ে। কিন্তু, তারা কথা শুনেনি। শিক্ষকরা এসেছিলেন অধ্যক্ষকে অপসারণের জন্য যা আমার এখতিয়ারে বাইরে। আগামী ২৯ মে মিটিং ডাকা হয়েছে। ওই মিটিংয়ে সবাই মিলে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।